রোহিঙ্গাদের টিকা কার্যক্রমে শর্তারোপ বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক •

কক্সবাজারে ক্যাম্পে শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নয়, টিকার আওতায় আনতে হবে স্থানীয় বাংলাদেশিদেরও। শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) টিকা কার্যক্রমের অনুমোদনে এমন শর্তই জুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘের কার্যক্রম ও ভূমিকার বিষয়ে যৌথ কমিটি গঠিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের চুক্তি হলেও এখনো পর্যন্ত একজনকেও দেশটি ফেরত নেয়নি। এত বিপুল জনগোষ্ঠী কক্সবাজারে স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ালে, সরকার ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে গড়ে তোলে এক লাখ মানুষের থাকার অবকাঠামো।

প্রথমে কিছু সংস্থা এর বিরোধিতা করে আসলেও সম্প্রতি ভাসানচর ঘুরে এর স্থাপনা ও ২০ হাজার রোহিঙ্গার জীবনযাপনের প্রশংসা করে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা (ইউএনসিআর)। উচ্চপর্যায়ের এই প্রতিনিধিদলটি ঘোষণা করে, কক্সবাজার ক্যাম্পের মতো শিগগিরই ভাসানচরে কাজ শুরুর।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ কী ধরনের ভূমিকা পালন করবে- এ বিষয়ে যৌথ কমিটি হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

এদিকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশ্ব শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কোভ্যাক্স সুবিধা থেকে টিকা আনার অনুমোদনের ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার।

পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, সরকারও চায় রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে। সেক্ষেত্রে জাতিসংঘ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত টিকা রোহিঙ্গাদের দেওয়ার অনুরোধ করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যা বলেছে- তা হলো জাতিসংঘ যদি রোহিঙ্গা এবং কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে পারে তাতে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণকে টিকার আওতার বাইরে রেখে কোভ্যাক্সের টিকা কেবল রোহিঙ্গাদের প্রদান করা সরকারের জন্য অসম্ভব কর্ম হবে।

বছরের পর বছর কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরসহ বাইরে অবস্থান করছে মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা।